Wednesday 18 May 2022

সংখ্যা ১।। ১৮ মে ২০২২ //লাল ঘোড়া দিলীপ কুমার ঘোষ

 লাল ঘোড়া

দিলীপ কুমার ঘোষ 



 

     শীতকালটাতেই যা একটু অসুবিধে। তা-ও মাত্তর হাতে গোনা তিন মাস--- অঘ্ঘান, পোষ, মাঘ। অবিশ্যি কাত্তিকের শেষে কালীপুজোর পর থেকেই শীত শীত একটা ভাব মালুম হতে আরম্ভ করে। বছরের বাকি সময় ঝুঁঝরো হওয়ার আগেই ---ভোর থাকতে থাকতেপরেশের ঘুম ভেঙে যায়। মাঘের ভরা জারেও তার ঘুম হয়তো ভাঙে কিন্তু উঠতে বড় কষ্ট! বাতের ব্যথাটাও এবার বেড়েছে ক'দিন। না'লে এই সত্তুরেও সে দিব্বি রয়েছে--- অসুখ-বিসুখের কোনও বালাই নেই। বাতও ছিল না,গেলো শীত থেকে ধরেছে।


 
খোকা ভোরবেলাতেই গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যাবে। রাতে খেতে খেতে খোকা বৌমাকে বলছিল। 'ছাব্বিশে জানুয়ারি', 'সকাল সাতটায় অনুষ্ঠান', 'ভোর পাঁচটায় বেরোতে হবে'--- এমন টুকরো-টাকরা ভেসে আসা কথা সে কান পেতে শুনেছে। অত ভোরে খোকা কোথা যাবে, কেন যাবে তার খুব জানতে ইচ্ছা করেছে। কিন্তু সে-ইচ্ছা সে চেপে গেছে।
 খোকা যদি ভোরবেলায় বেরোয় তাকে উঠতে হবে রাত থাকতে থাকতেই। দু'ঘন্টা সময় তার লাগবেই। তার কমে সে কিছুতেই পেরে উঠবে না। সে খুব মেটো--- সব কাজে তার দেরি। আসলে সব কাজই সে খুব যত্ন ক'রে করে। তা সে গরুর জন্য কলাগাছ কুঁচোনোই হোক বা খড় কাটা। এমনকি সে যখন মাঠ থেকে ঘাস নিড়িয়ে আনে, সেই নিড়োনো জায়গাটায় একটা কুটি পর্যন্ত পড়ে থাকে না--- মনে হয় গরুতে যেন খুঁটিয়ে খেয়েছে। এর দাম যে সে একদম পায়নি তা নয়। হাটে তার নিয়ে যাওয়া ফসল আগে বিককিরি হত--- একটু বেশি দামেই। বাজরায় সাজানো, মোলাম করে পোষ্কার করা তার সব্জির রূপই আলাদা। সে ওলই হোক বা কচু-মান-মুলো।
 রাতে ভাল ঘুম-ই হল না। বার বার ঘুম ভাঙল। ঘুম ভাঙলেই সে বড় দেলঘড়িটায় টচের লাইট মেরে ঠাওর করার চেষ্টা করছিল ক'টা বাজে। আলোয় জোর নেই, ব্যাটারি ফুরিয়ে এসেছে। ব্যাটারির-ই বা আর দোষ কী! লাগিয়েছে সেই কালীপুজোর সময়। দু'মাস হয়ে গেল। ন্যাতানো আলোতেই একবার দেখল একটা বেজে গেছে। আর একবার দেখল দু'টোও বাজেনি। লেপের তলা থেকে সে ধীরে ধীরে কষ্ট করে বেরোল। শীতে হুনমান টুপি পরে শোয় সে। গায়ে চাদরটা ভাল করে জড়িয়ে নিয়ে টচ হাতে কলতলায় গেল। পেচ্ছাপে বসল। বসে আছে তো বসেই আছে। আজকাল পেচ্ছাপ হতে বড় দেরি। একটু করে হয়, বেশ খানিকখন হয় না। ফের এক ফোঁটা-দু'ফোঁটা। শেষমেশ সে উঠে পড়ল। কলটা বার দশেক টেনে বরফের মতো ঠাণ্ডা জলটা বের করে দিয়ে, দু'ঘোঁট জল খেয়ে সে ঘরের দিকে পা বাড়াল। আচমকা তার চোখ চলে গেল উঠোনে রাখা গাড়িটার দিকে। মনে হল একটা লাল রঙের ঘোড়া চাঁদের আলোয় ভাসছে! কাল সবে পুন্নুমে গেছে। চাঁদের আলোয় সব কেমন অন্য রকম লাগছে আজ। কাল ভোরে এমন চাঁদের আলো ছিল না। মরা আলো ঘন কো'শায় ঢেকে গেছল। আজও মনে হয় কো'শা আসবে। একটা হালকা সাদা চাদর যেন কেউ এরইমধ্যে মেলে দিয়েছে। তার মাঝেই রুপোলি আলো গায়ে মেখে দাঁড়িয়ে আছে লাল গাড়িটা। হঠাৎ মনটা খারাপ হয়ে গেল পরেশের। বুকটা কেমন হু হু করে উঠল।
 গেটের বাইরের আলো মানুষ-সমান পাঁচিল দেয়া কলতলার মধ্যে আসে না। তবুও পেচ্ছাপ করতে উঠে সে আলো জ্বালেনি। খোকার বিয়ের আগে ডান চোখের ছানি অপোরেশন হয়েছে। বিদিশি লেন্স বসেছে চোখে। এখন ডান চোখে সে সবকিছু পোষ্কার দেখতে পায়। এমনকি সর্ষে পর্যন্ত আজকাল তার নজর এড়ায় না। বাঁ চোখটা অবিশ্যি ছানি পড়ে একদম গেছে! কিছুই দেখে না। বাঁ চোখটা আর কাটানো হবে না! আগের খোকা আর নেই।
 অনেকক্ষণ গাড়িটার দিকে তাকিয়ে আনমনা হয়ে দাঁড়িয়েছিল পরেশ। ঘরের ভেতর থেকে মিনতির গলার আওয়াজে তার হুঁশ ফিরল। ''... কই, কোথায় গেলে? পায়খানায় উঠলে না কি?... বলি, ঘরের দরজাটা হাট করে খুলে রেখে গেছ কেন?"
 পরেশ ঘরে এসে দরজাটা টেনে দিল। টচ জ্বেলে মশারিটা তুলে বিছানায় বসল। ঘড়িতে আলো ফেলল। আড়াইটে। 
 মিনতি পাশ ফিরে শুয়ে গজগজ করে উঠল, "কী হল? শোবে না নাকি? ক'টা বাজে? এখন একটু শোও। পরে উঠে করবে।"
 পরেশ জানে এখন শুলে সে আর উঠতে পারবে না। তার চেয়ে না-শোয়াই ভাল। একটু দোনোমনো করে হুনমান টুপির ওপর দিয়ে গামছাটা চেপে মাথায় ভাল করে বাঁধল। তারপর বিছানা ছেড়ে উঠল। ঘরের বাইরে বেরিয়ে সাবধানে দরজা ভেজাল। শেষে বারান্দার দরজা খুলে উঠোনে নেমে এল। 
 পরেশ নিজে সাইকেলও চড়তে পারে না। হেঁটে-হেঁটেই তার জীবন কেটে গেল। সে ছুটতে শেখেনি। কোনও দিন কোনও কিছুর পেছনে ছোটেনি। কখনওই সে ভেতর থেকে কোথাও পৌঁছনোর তাড়া অনুভব করেনি। রয়ে-বসে, ধীরে-সুস্থে, আলসেমি করে একটা গোটা জীবন সে কেমন পার হয়ে এল! 
 আজকাল পোষ্কার করার সময় একবার না একবার বাইকটায় উঠে দু'দশ মিনিট বসে থাকা তার অভ্যেসে দাঁড়িয়ে গেছে। আগে বসবার কথা সে ভাবতেই পারত না। বরং পোথম পোথম খোকা যখন বাবুসোনাকে গাড়িতে বসাত তার ভয় লাগত --- যদি ছেলেটা গাড়ি থেকে পড়ে যায়! পোথম দিনকে সে তো খোকাকে বারণই করেছিল, "বাবুসোনাকে একা বসাসনি খোকা!" খোকা তার কথায় পাত্তা না দিয়ে চোখটা টেরিয়ে একবার শুধু তাকিয়েছিল। 
 তারপর থেকে সে-ও সাহস করে গাড়িতে উঠে বসে। গাড়িটা সবসময় ডবল স্ট্যান্ডে রাখা থাকে। সে দেখেছে সামনে-পেছনে যেখানে যেমনভাবেই বসুক না কেন, পড়ার কোনও ভয় নেই। 


এক-একদিন ভোরে তাকে গাড়িতে বসে থাকতে দেখলে অবিশ্যি মিনতি জ্বলে ওঠে, "তোমার লজ্জা-ঘেন্না বলে কিছু নেই নাকি? বৌমা দেখছ তার বাপের দেয়া গাড়ি নিয়ে খোকাকে পর্যন্ত উঠতে বসতে কথা শোনায়, আর তুমি কিনা সেই গাড়িতে ধিঙ্গির মতো উঠে বসে আছ! নামো... নামো বলছি।"


 মিনতির কথা পরেশ ফেলতে পারে না। মিনতি তার দ্বিতীয় পক্ষ। পোথম পক্ষের ইসতিরি ভেগেছিল বিয়ের এক হপ্তার মধ্যেই। সেই যে জোড়ে গেল আর ফেরার নাম করেনি। পরে জানা গেল বিয়ের আগে থাকতে যে ছেলেটার সঙ্গে আশনাই ছিল, কিছুদিন পর তাকে বিয়ে করে তার ঘরে গিয়ে উঠেছে। বৌভাতের পর যে চার-পাঁচ রাত পরেশ তার আগুন সাক্ষী করা পোথম পক্ষের সঙ্গে ছিল, তার সাহসে কুলোয়নি তাকে আদর-সোহাগ করে। বরং সদ্য বিয়ে হওয়া বৌ--- নিজে তক্তোপোষে শুলেও--- পরেশকে বাধ্য করেছিল নীচে মেঝেয় শুতে। পরেশের তখন জোয়ান বয়স; শক্ত সোমথ্থ পুরুষ সে। ডাগর বৌয়ের সঙ্গে একঘরে থাকছে অথচ কাছে ঘেঁষার জো নেই। সেই চার-পাঁচটা রাত তার যে কী কেটেছে!


  পরেশের দ্বিতীয় বিয়ে হতে অবিশ্যি বেশি সময় লাগেনি। তাদের চেয়েও গরীব ঘরের মেয়ে মিনতি এল বৌ হয়ে। এসে আস্তে আস্তে সংসারে মানিয়ে নিল। তারপর দেখতে দেখতে কোথা দিয়ে কেটে গেল পেরায় চল্লিশটা বছর!


 বিয়ের দু'বছরের মাথায় একটা মেয়ে হয়েছিল। বাঁচেনি, আঁতুড়েই মরে যায়। পেরায় সাত বছর পর খোকা হয়। পরেও একটা বাচ্চা মিনতির পেটে এসেছিল। পরেশ চেয়েছিল বাচ্চাটা হোক। কিন্তু মিনতি চায়নি। অভাবের সংসারে দু'টো বাচ্চা বড় করা যে কী কষ্টের সেটা বুঝে চার মাসের মাথায় বাচ্চাটা নষ্ট করায় মিনতি।


 এই সেদিন পর্যন্ত মনে হত মিনতিই ঠিক। কিন্তু খোকার বিয়ের পর থেকেই পরেশের মনে হয় আর একটা কেউ থাকলে ভাল হত। এখন তাদের এক তরকারি নুনে পোড়া!


 সামান্য আট কাঠা জমিতে চাষাবাদ করে, পরের জমিতে জন খেটে অনেক কষ্টে পরেশ সংসার চালিয়েছে। বাড়িতে গরুও ছিল দু'-তিনটে। যা হোক করে চলে যেত। তারা চোখ থাকতে অন্ধ--- দু'জনের কেউ-ই বিন্দু-বিসর্গ লেখাপড়া জানে না। কিন্তু গোড়া থেকে লেখাপড়ায় খোকার খুব মাথা। সবাই বলত, তারাও ভেবেছিল, একদিন খোকা তাদের সমস্ত দুঃখ-কষ্ট দূর করবে।


 বছর পাঁচেক আগে খোকা হাই-ইশকুলে চাকরি পেল! বাড়ি থেকে প্রায় চল্লিশ মাইল দূরে--- সেই তারকেশ্বরে। বাড়িতে তখন সকলের কী আনন্দ! তার এক বছরের মাথায় বিয়ে করল নিজের পছন্দে। মেয়ের বাপ বিরাট বড়লোক। নিজেই পয়সা খরচ করে ছাদওলা ঘর-জলের ট্যাঙ্ক-ফিরিজ-পেল্লাই টিভি-এসি-ইনভাটার-বাইক --- সব করে দিয়েছে। ভিটেটাই খালি পরেশের। দেখতে দেখতে খোকা কেমন বদলে গেল! যে খোকা ইশকুলে যাওয়ার আগে মায়ের পা ছুঁয়ে ''মা, আসছি" বলে বাড়ি থেকে বেরোত, সেই খোকা এখন মায়ের সাথে ঠারে-ঠোরে কথা বলে। তার সাথেও ভাল ভাবে কথা বলে না। সবসময় বৌয়ের ভয়ে যেন সিঁটকে আছে। আর বৌমা তো তাদের মনিষ্যি বলে জ্ঞানই করে না!


 এখন চাষবাস আর নেই। বছরখানেক আগে গাবিন গরুটা হঠাৎ স্টোক হয়ে মরে গেল। পরেশের খালি মনে হয় সব মায়া যেন ধীরে ধীরে কেটে যাচ্ছে। তার খুব মায়া ছিল খোকার জন্য। নাতিটার ওপরও খুব মায়া পড়ে গিয়েছিল। মাস ছয়েক বয়স থেকে বাবুসোনাকে কাঁধে চাপিয়ে রোজ সকাল-বিকাল বেড়াতে নিয়ে যেত। কিন্তু বছরখানেক পর থেকেই বৌমা আর বাবুসোনাকে তাদের কাছে ঘেঁষতে দেয় না। বাবুসোনা যখন "ও ঠামমা, ঠামমা" বা "দাদু, দাদু" করে কাছে আসতে চেয়ে কাঁদে তখন তার বুকটা যেন ফেটে যায়।

 গাড়িটা অন্য দিন দেয়াল ঘেঁষে দাঁড় করানো থাকে বলে বিষ্টিতে বা হিম পড়ে ভেজে না। আজ গাড়িটা অতটা ভেতর করে রাখা ছিল না বলে হিমে পুরু ভিজে গেছে। গা-বেয়ে কাদাগোলা জল গড়িয়ে গড়িয়ে পড়ছে। পোত্যেকদিন গাড়িটাকে আগে ঝেড়ে-পুঁছে সাফ করে। তারপর জলে একটা ছেঁড়া কাপড় ভিজিয়ে একটু একটু পোষ্কার করতে করতে ঘসে গাড়িটাকে মাজতে থাকে সে। দোলের দিন খোকাকে পাথরবেড়ে চান করাতে নিয়ে গিয়ে এভাবেই সে ঘসে ঘসে সাবান মাখাত। খোকা তার কত কাছের ছিল। আর আজ!

 গাড়িটা ভিজে গেছে দেখে তার খারাপ লাগে। শীতের রাতে গাড়িটা কেমন ঠান্ডায় পড়ে থাকে! কাল-ই সে চাপা দেয়ার কিছু একটা দেখে রাখবে।

 আজ আর ধুলো ঝাড়তে হবে না। ভাল করে শুকনো কাপড়ে মুছলেই চলবে। যাতায়াতের পথে পেরায় আট মাইল মোরাম ফেলা রাস্তার ধুলো মেখে লাল হয়ে বাড়ি ফেরে গাড়িটা। লাল ধুলো মোটা হয়ে জমে থাকে। মন্দ লাগে না পরেশের। পোত্যেকদিন পোষ্কার করার বাহানায় গাড়িটাকে হাত বুলিয়ে, আদর-যত্ন করে অনেকটা সময় বেশ সুন্দর কেটে যায়। খোকা গাড়িটা সার্ভিসে দিলে মন খারাপ হয়ে যায়। 


 ঘন্টা দেড়েক গাড়িটা ভাল করে মুছল সে। আজ আর তার গাড়িটাতে উঠে বসতে ইচ্ছা করল না। সে বেশ কিছুক্ষণ চুপচাপ গাড়িটার সামনে--- ঠাকুরতলায় বসে রইল। হিম পড়ে তার টুপি-চাদর অনেকটাই ভিজে গেল। খোকার ওঠার আওয়াজ পেয়ে সে উঠে ঘরে এসে একটু শুল। পাঁচটা নাগাদ খোকা গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে গেল।


 খবরটা এল সাড়ে সাতটা নাগাদ। সে তখন মাঠ থেকে ফিরছিল। দেখল বাড়ির সামনে অনেক লোক আর একটা ট্যাক্সি দাঁড়িয়ে আছে। ট্যাক্সিতে মিনতি, বৌমা, বাবুসোনা আর খোকার বড় শালা তরুণ। পরেশ আসতে তাকে সবাই মিলে ট্যাক্সিতে তুলে দিল। সে কিছু বুঝে ওঠার আগেই ট্যাক্সি সাঁ সাঁ করে ছুটতে আরম্ভ করল। খোকাও এরম জোরে বাইক চালায়। মনে আছে একবার সে খোকার গাড়িতে চেপেছিল। খোকা লাল গাড়িটাকে হুশ হুশ করে উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু এখন কোথায় যাচ্ছে তারা? একবার কানে এল বৌমাকে তরুণ জিজ্ঞেস করছে, "অ্যাকসিডেন্টটা লরির সঙ্গে হয়েছে বলল? কোথায়...? গজার মোড়ের কাছে?" বৌমাকে দেখল শুধু ঘাড় নাড়ছে আর দু'চোখ দিয়ে হু হু করে জল গড়িয়ে পড়ছে। বাবুসোনাকে কোলে নিয়ে মিনতিও ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছিল। পরেশের মাথা থেকে একটু একটু করে কো'শা কেটে যাচ্ছিল। কিছুক্ষণ পরে তরুণ আবার জানতে চাইল, "বাইকটা লরির পিছনের চাকায় ঢোকার আগে... প্রদীপ কি ছিটকে গিয়েছিল...? বৌমা মুখটা হাত চাপা দিয়ে ডুকরে কেঁদে উঠল। ঘাড় নেড়ে বলল, "কিছুই জানি না রে দাদা! ফোনে শুধু বলল, তারকেশ্বরে একটা নার্সিংহোমে নিয়ে গেছে। আর... গাড়িটা নাকি ভেঙে-চুরে একদম নষ্ট হয়ে গেছে।"


 মাথায় একটা চক্কর দিয়ে উঠল পরেশের। জ্ঞান হারানোর ঠিক আগের মুহূর্তে সে দেখল লাল ঘোড়াটা সোঁ করে সাদা কো'শার মধ্যে মিলিয়ে গেল।






1 comment:

প্রকাশিত পর্ব

ঊনবিংশ সংখ্যা ।। ২১সেপ্টেম্বর।। নরকের প্রেমকাহিনী ।। তন্ময় ধর

নরকের প্রেমকাহিনী     তন্ময় ধর  'নরক !! না না, এমন নামের ছেলের সাথে কিছুতেই তোমার বিয়ে হতে পারে না' কমল মিত্রসুলভ স্বর, দৃষ্টি ও আভি...