Wednesday 25 May 2022

সংখ্যা ২ ।। ২৫ মে ২০২২ ।। মধ্যবর্তিনী ।। শুভশ্রী সাহা

মধ্যবর্তিনী 

শুভশ্রী সাহা 


আজকাল বারান্দার ধারের জবা ফুল গাছটায় এই শীতেও ঝাঁপিয়ে ফুল আসছে। মঞ্জরী সেদিকে তাকিয়ে থাকল অন্যমনস্ক হয়ে। শীতের মিঠে রোদ বারান্দায় ছড়িয়েছে, বাতাসে এখনো হিমের গন্ধ। মঞ্জরী গায়ের শালটা জড়িয়ে নিল ভালো করে। 

মা আ, --- ছেলের গলা, অনিকেত ঘরের সামনে এসে দাঁড়াল। মঞ্জরী সামান্য চোখ তুলল। ছেলেটা তাড়াতাড়ি লম্বা হয়ে গেছে বড়। অবিকল বাপের ছাপ বসানো শরীরে।

--- কী?

-- চেতনদা ওই টু-হুইলারের শোরুমটা নিয়ে তোমার সাথে কথা বলতে চায়। চেতনদাই সাজিয়ে ফাজিয়ে পুরোটা করে দেবে! 

--- আবার শোরুম! এখন ব্যবসা পত্তর মন্দ চলছে বুবাই, যা আছে সেগুলো তো চালাতে হবে আগে! মঞ্জরীর মুখে বিরক্তি নেমে এলো! 

-- , তুমিও পারো বটে মা! তোমার টাকায় খায় কে! তোমাদের তো রানিং ব্যবসা সব! ছুটছে! 

ডিস্ট্রিবিউটারশিপ নিয়ে নিয়েই তো লাল হয়ে গেলে তোমরা! 

মঞ্জরীর চোয়াল শক্ত হলো, ---লাল কী নীল সব তো উপর থেকে বোঝা যায় না! আর তোর সাইবার কাফেটা কী একেবারে গোল্লায় চলে গেছে! আবার শোরুমের চিন্তা! 

-- গোল্লায় যাবে কেন! সামান্য ঝাঁঝালো অনিকেত। এটা আমার ড্রিম প্রোজেক্ট! দাদুর এই জমিটাতো ফালতু পড়েই রয়েছে হাইওয়ের ধারে! রিয়েলি মা! 

-- জমিগুলো কী ভাবে বাঁচিয়ে রাখতে হয় সেটা যদি জানতিস ! যাকগে, এখন নয় , সামনের মাসে চেতনকে আসতে বল! মঞ্জরী চোখে চশমা পরলো। যেন কিছু পড়বে। 

ঈঙ্গিতটা স্পষ্ট। অনিকেত নিজের ঘরে চলে গেল।  

মঞ্জরী চশমাটা খুলে ফেলল। অদ্ভুত! সে যেন টাকা ছাপানোর মেশিন। কী ভাবে এই ছোট জায়গায় ব্যবসাগুলো সে চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সেই জানে। ডিস্ট্রিবিউটারশিপগুলো বাকিগুলোকে চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। দিবানাথ আছে বলে রক্ষা! নইলে কবেই পার্টির গর্ভে সব চালান হয়ে যেত। ভারী নিঃশ্বাস ফেলল মঞ্জরী।

দিদি, ঘরের ভেতর মুখ বাড়ালো হেনা, চা এনেছি --

-- দে

-- কী বিস্কুট দেব? ক্রীমকেকার খাবে?

-- দে না যা হোক একটা কিছু ! মঞ্জরীর বিক্ষিপ্ত কন্ঠস্বর শুনে অবাক হলো হেনা।

-- বুবাইকে সেই লোকটা আবার ফোন টোন করছে বুঝলে দিদি! মুখ থেকে বেরিয়ে গেল হেনার কথাটা! 

মঞ্জরী চমকে উঠল, একটা দাগী লোকের সাথে তার ছেলে কেন কথা বলে! কী চায় কী! 

--তোর দাদা কোথায় রে? 

দাদার অফিস ঘরে লোক এসেছে। 

--- ওহ! তাহলে ওখানেও চা পাঠিয়ে দিস। 

--মিঠু ঘুম থেকে উঠেছে? কলেজ নেই আজ?

--কিছু বলেনি তো বেরোবে । দেখছি। 

হেনা বেরিয়ে যেতেই মঞ্জরী ফোনের দিকে হাত বাড়ালো।

-- হ্যালো, উদয়?

-- বলুন বউদি,  

-- বলছি অসীম বিশ্বাস তো আবার ঘোরাফেরা করছে বুবাইয়ের চারপাশে। 

-- জানি বউদি!

--- জানো! তুমি কী করে জানলে!

-- দাদা প্রায় পনেরোদিন হয়ে গেল আমাকে খেয়াল রাখতে বলেছে!

-- ওহ! 

-- চিন্তা করবেন না বউদি। আমি সামলে নেবো। 

মঞ্জরী অস্ফুটে বলল, ঠিক আছে। 

দিবানাথ যদি জানে যদি ওকে বলেনি কেন! 

এই লোকটা ছুরি মারতে গেছিল মঞ্জরীকে, কিন্তু মঞ্জরীকে বাঁচাতে গিয়ে সেই ছুরি পড়েছিল দিবানাথের পেটে । থানা পুলিশ আদালত হাজত কম হয়নি। ব্যবসার জেরে খুনের চেষ্টা বললেও, কেউ কেউ বলে অসীম বিশ্বাস, নাকি হেমনাথেরই ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল। এই দাগী লোকটা বেশ কিছু আগে ছাড়া পেয়ে অনিকেতের আশে পাশে ঘোরাফেরা শুরু করেছিল, তারপর উধাও, এইবার আবার ফিরে সেই এক খেলা শুরু করেছে। কী বলতে চায় সে, অনিকেতকে? তার বাবার কথা, মঞ্জরীর কথা? দিবানাথের বিরুদ্ধে সে কী অনিকেতকে দাঁড় করাবে! এই জন্যই কী অনিকেত আজকাল দিবানাথকে ঠিক মানতে চায় না? কিন্তু দিবানাথ না থাকলে সেকী ছেলের জীবন ফিরে পেত নাকি! অনিকেত তো কত কিছুই জানে না। হেমনাথ আর দিবানাথের মাঝে মঞ্জরীর নিজের কথা চাপা পড়ে আছে কতকাল!

  দিবানাথ তার স্বামী হেমনাথের খুড়তুতো ভাই। হেমনাথ চলে যেতে দিবানাথ পাশে না এসে দাঁড়ালে মঞ্জরী খুব বিপাকে পড়ে যেত। অবশ্য মারা যাবার আগে থেকেই দিবানাথ আর মঞ্জরীই সব সামলেছে ব্যবসা পত্তর। খড়িবেড়ের চারপাশ দ্রুত বদলে যাচ্ছিল তখন। তার শ্বশুরের তৈরি করা জোত জমি, দোকানঘর, ভেড়ি, ইটভাঁটা সবই ছিল কিন্তু মঞ্জরীর স্বামী হেমনাথ নিজেই এক অদ্ভুত প্রাণি ছিল সংসারে। ছেলে-মেয়ে স্ত্রী বা বাবা সবাই যেন তার কাছে ভিন গ্রহের লোক। ভালোবাসত হয়তো, কিন্তু নিজের চারপাশে দেওয়াল তুলে রাখতো সবসময়। অদ্ভুত এক শীতলতা ছিল চরিত্রে। মঞ্জরী দেখতে দেখতে নিজেও শীতল হয়ে গেছিল একসময়। সহবাস করলেই কী দাম্পত্য হয় নাকি!

 মঞ্জরীর ছেলে মেয়ে হবার সময়ও হেমনাথ বেপাত্তা! তার শ্বশুর আর এই দিবানাথ, সব সামলেছে। মঞ্জরী ছেলে হবার বেলায় মরতে বসেছিল প্রায়। রক্ত জোগাড় করে আনতে বললে হেমনাথ পালিয়ে গেছিল নার্সিংহোম থেকে। দিবানাথ সব করেছিল। নইলে, সে আর তার ছেলে ফিরতো নাকি বেঁচে! ---- সবাই জানেও।

 কয়েকদিন পর অজ গ্রামের ভেতর থেকে হেমনাথকে ধরে নিয়ে আসে তার ভাই। শ্বশুর ধরে মারতে বাকি রেখেছিল। ফিরে আসার পরও নাকি জানতে চায়নি মঞ্জরী কেমন আছে বা বাচ্ছাটা কেমন, কী বৃত্তান্ত।---এই অসহ দাম্পত্য নিয়েই তাকে চলতে হবে দেখে মঞ্জরী আর ঘোমটার আড়ালে থাকেনি। শ্বশুরের সঙ্গে সঙ্গে থেকে সব সে নিজেই হাতে তুলে নেয়! হেমনাথের হাতে পড়লে তার আর ছেলেমেয়ে দুটোর ভাত জুটতো না। 

তার ছেলেমেয়েরা অবশ্য, বিশেষ করে মেয়েটা, মিঠু , বাবা বলতে দিবানাথকেই জানে। বাবা তার প্রাণ। মেয়ে হবার চারদিন বাদে ফিরেছিল হেমনাথ। শ্বশুর বাড়ি ঢুকতে দিতে চাননি রাগে। মঞ্জরীই আঁতুড় থেকে উঠে এসে শ্বশুরকে মানিয়েছিল।

অন্দর সামলেছে দিবানাথের মা শিবানী। তার উপায় কী। বিধবা হয়ে ইস্তক ছেলে নিয়ে জেঠতুতো ভাসুরের সংসারে। ভাসুর ভাদ্রবউকে বিছানায় নিতো, আর এই জন্যেই নাকি হেমনাথ এমন পাগলপানা, ঘোরতর অসহ দাম্পত্য যাপন করেছে! --- মাতৃহীন পুত্র, বাবার এই অবৈধ সম্পর্ক! কোনো মেয়েমানুষকেই আর বিশ্বাস, ভরসা, ভালোবাসতে পারেনি। অথচ কী সুভদ্র মানুষ ছিল! 

অবশ্য এ সব মঞ্জরীর ঝি-চাকরের মুখের কথায় শোনা। বিয়ের পর পুরোনো লোকেরা বলেছিল। 

 কে জানে কী সত্যি! তবে মঞ্জরী দেখেছে শিবানী যা বলতেন শ্বশুর সেটাই মানতেন। হেমনাথের থেকে দিবানাথের আধিপত্য ছিল বরাবর বেশি । শ্বাশুড়ি কবেই তো গত হয়েছিলেন। হেমনাথ শিবানীর কাছেই মানুষ হলেও তাকে পছন্দ করতো না বিশেষ।

-- আজ দোকানে যাবে না? ঘরের বাইরে থেকে দিবানাথ জানতে চাইলো। 

মঞ্জরী তাদের এল পি জি গ্যাসের অফিসে বসে। সেখান থেকেই বাকি সব চালায়। কর্মঠ মহিলা, ভোল পালটে ফেলেছে পুরোনো ব্যবসার। কিন্তু একটাই মঞ্জরী আবেগহীন নারী। 

 দিবানাথ মঞ্জরীকে দেখছিল। সামান্য পুরুষালী গঠনের মঞ্জরী লম্বা একহারা চেহারা। চিবুকের হাড় সামান্য উঁচু নিটোল কপাল। ঘসেমেজেও ফর্সা বলা যায় না। শ্যামলাই, বরং তার মুখশ্রী বেশ সুন্দর। কাটা কাটা। দীর্ঘ চুল তবে ঘন নয় খুব। কিন্তু সারা শরীর জুড়ে এক অদ্ভুত দৃঢ়তার ছাপ স্পষ্ট।

-- যাবো। তুমি ভেতরে এসো। 

-- জানি, কী বলবে তুমি!

-- তুমি জানলে কী করে, তাও এতদিন আগে থেকে! 

দিবানাথ হাসলো, --- জানতে হয়। ছেলেপুলে মানুষ করতে গেলে খোঁজ রাখতে হয় বইকি! বেশ মাস দুয়েক আগে থেকেই এ-ই লোকটা বুবাইয়ের সঙ্গে ঘুরছে। তুমি ব্যস্ত দেখে কিছু বলিনি আর। আজকাল সামান্য কারণে তুমি বড় টেনশন করে ফেলছ।

----সামান্য কারণ? জানো ওই জায়গাটায় আমার পেট্রোল পাম্পের জন্য আপ্লাই করা আছে কবে থেকে! হাইওয়ে বলে হয়ত হয়েও যাবে। ব্যাঙ্ক লোন পেলেই করে নিতে হবে। এ-ই চারপাশের ছোট জায়গায় কোনো পেট্রল পাম্প নেই। চালু বিজনেস! 

-- চালু বিজনেস! বুবাইকে বলতে পারবে? দিবানাথ এখনো মঞ্জরীকে নাম ধরে ডাকতে পারে না। সে আর মঞ্জরী দুমাসের ছোট বড়। মঞ্জরীই বড় দু মাসের। 

মঞ্জরী দিবানাথের দিকে স্পষ্ট করে তাকালো। দাদার পুরো বিপরীত চেহারা মিল নেই। হাট্টা কাট্টা লম্বা, সামান্য স্থুলতার দিকেই পড়ে এখন। রঙ চাপা। সারা মুখশ্রীতে একটু ক্রূরতার ছাপ। সেটা অবশ্য ইদানীং এ-র। ওর কাজটাও তাই। প্রমোটারি, নেতা-টেতাদের মাঝের সমস্যা মেটানো। মিডিলম্যান হয়ে ব্যবসা, রাজনীতি দুয়ের মাঝে বসে থাকা। তাই জন্যই মঞ্জরীকে কেউ ঘাঁটায় না আর। সাহস পায় না। অনেক কাল আগে তার শ্বশুরের বাজারের উপর চালু লোহার দোকানটা বাঁচাতে গিয়ে ছুরি খেয়েছিল দিবানাথ। মঞ্জরীর মরার কথা ছিল সেদিন, ওকে বাঁচাতে গিয়ে ই দিবানাথের পেট ফুটো হয়েছিল। অনেক কষ্টে বেঁচেছে। এই লোক তাকে, ছেলেকে মেয়েকে সব দশ হাত দিয়ে আগলে রেখেছে ! বুবাই আজকাল ওকে তাচ্ছিল্য করে, বেশ বুঝতে পারে মঞ্জরী। --- তার চোয়াল শক্ত হয়ে গেল অজান্তেই।

-- এখন কিছুই বলো না প্লিজ। একটু ধৈর্য ধরো। লোকটা ফালতু, আমি সামলে নেব ঠিক। এ-ই বয়েসে একটু আধটু অবুঝ সবাই হয়। দিবানাথ গলা নামালো।

-- সামলাতে পারলে তো ভালো দিবু ! নাহলে আমাকেই সামলাতে হবে কড়া করে। 

দিবানাথ হেসে ফেলল। তার চোখ পড়ল মঞ্জরীর পায়ের পাতার দিকে।

-- একি! এটা কী করে হলো!  

-- কিছু না। সামান্য তেল পড়ে গেছিল। 

-- তেল! পড়ে কী করে, এরা, এতগুলো কাজের মানুষ কী করে সবাই! দিবানাথ মঞ্জরীর পায়ের পাতায় হাত দিতে যেতেই মঞ্জরী পা গুটিয়ে নিলো। দিবানাথ ও অপ্রস্তুত হয়ে হাত সরিয়ে নিল। 

-- ফোস্কা শুকোচ্ছে না? সুগারটাও তো অনেক দিন মাপানো হয় নি। 

আজ ফোন করে দিচ্ছি। বিজন এসে ব্লাড নিয়ে যাক কাল।

-- ধুর! সামান্য একটা ফোসকা! সুগার ঠিক আছে! 

-- তুমি বললেই সবসময় সব ঠিক না! 

মঞ্জরী সামান্য হাসল। সে স্বভাব গম্ভীর। দিবানাথ চেনে বোধহয় সবচেয়ে বেশি।  

আর একজন কী চিনতো তেমন! অসহবাসের দাম্পত্যে! চিনতো না, চায়ও নি। ধরাই দেয়নি কোনদিন, কারুর কাছে, তবু তার জন্যেই মঞ্জরীর খর চোখও জ্বালা করর। উপেক্ষার তীব্র কষ্ট দানা বাঁধে গলায় এখনো। সে তো কিছু ছিনিয়ে নেয় নি! বেঁধে রেখেছে বরং। তবু চলে গেল কেন! আজ মেয়ের বয়স ধরে সে কুড়ি বছর নিখোঁজ।--- কিন্তু সবাই জানে মারা গেছে হেমনাথ, তারা দুজন বিবাহিত।

দিবানাথ নিচে নেমে এলো। রান্নাঘরের ভেতরে হেনা একা। দিবানাথকে দেখেই তার গায়ের কাছ ঘেঁসে দাঁড়ালো। খোলা কোমর থেকে উন্মুক্ত নাভি দেখা যাচ্ছে অনেকটা।

--লুচি খাবে? করে দেব? না চাওমিন? হেনার গলা তরল করে হাসলো। 

 দিদি কী বলল? রেগে আছে না বুবাইয়ের উপর? 

-- দিবানাথ অন্যমনস্ক হলো--- 

 কাল সুগারটা দেখে নিতে হবে । তোমার দিদি ওষুধ খাচ্ছে না ঠিকমতো। ফোসকা পড়ল কী করে! 

তেল টেল ওর নাড়াচাড়ার কী দরকার। তুমি কী করো! 

হেনার কোমর থেকে চোখ সরিয়ে নিল দিবানাথ, হেনাও সরে গেল।

-- যা হোক কিছু একটা করে দাও আমি বেরোব। --- দিদিকে কি তুমি বুবাইয়ের ব্যাপারে বলেছিলে হেনা! ঠান্ডা দৃষ্টি দিবানাথের।

হেনা বিবর্ণ হয়ে গেল ভয়ে। এই দিবানাথ তার অজানা নয়! 

--- আমি বুঝতে পারিনি যে দিদি জানে না! 

দিবানাথের চোয়াল শক্ত হল, ---আমি কিন্তু দিদিকে বিরক্ত করা পছন্দ করি না, জানো তো! আর বলবে না! ব্যবসাতে এমনিতেই চাপ থাকে ওর। প্রেশার বেড়ে যাবে! 

হেনা মাথা নিচু করে নিল।

দিবাকর বারান্দায় এলো। মঞ্জরী চান করছে দোতলায়। রোদ পড়ে ওর শরীর ছুঁয়ে সাবান জল গড়িয়ে আসছে, চিকচিক করছে বাথরুমের নর্দমায়। 

দিবাকর লম্বা করে নিঃশ্বাস নিল।। আহ! মঞ্জরীর সুগন্ধ, একজন চারপাশ জুড়ে। সহবাস নেই, তবু জুড়ে আছে সবটুকু নিয়ে।



শুভশ্রী সাহা।
 ইতিহাসে স্নাতকোত্তর, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। লেখালেখি বিভিন্ন লিটিল ম্যাগাজিনে-- গল্প, কবিতা, মুক্ত গদ্য এবং প্রবন্ধ। প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'আমি সে ও সখা' (যৌথ)। একক গ্রন্থ মুক্তগদ্য - 'ফেরিঘাটে একা'। 'মায়াগাছ' ( অণু গল্প সংকলন,বইমেলা ২০২২)







1 comment:

প্রকাশিত পর্ব

ঊনবিংশ সংখ্যা ।। ২১সেপ্টেম্বর।। নরকের প্রেমকাহিনী ।। তন্ময় ধর

নরকের প্রেমকাহিনী     তন্ময় ধর  'নরক !! না না, এমন নামের ছেলের সাথে কিছুতেই তোমার বিয়ে হতে পারে না' কমল মিত্রসুলভ স্বর, দৃষ্টি ও আভি...