একটি সুন্দর ফাঁসির আদেশ
সাইয়িদ রফিকুল হক
মন্দিরের পাশে একখানা ধানক্ষেত। আগে এটা মন্দিরের জায়গাই ছিল। কিন্তু এখন এটা একজন মুসলমান চাষির দখলে। ১৯৭১ সালে, এই জমির মালিক রাধাগোবিন্দ সাহা যখন প্রাণভয়ে সপরিবারে টাঙ্গাইলের এক নিভৃত পল্লিতে আত্মগোপন করলেন তখন এসব পড়ে ছিল এখানেই। তিনি এসব ফেলে চলে গিয়েছিলেন। জীবনে বেঁচে না-থাকলে জমি দিয়ে কী করবেন তিনি?
দেশ স্বাধীন হলো একসময়। কয়েক মাস পরে আবার তিনি নিজের ভিটায় ফিরে এলেন। ততদিনে মন্দিরের পাশের জমিটা দখল করে নিয়েছে সোনাপদ্মা-গ্রামের আফাজ-কামলা। দখল অবশ্য সে একা-একা করেনি। তাকে সাহায্য করেছিল তৎকালীন ইউনিয়ন বোর্ডের প্রেসিডেন্ট ও শান্তিকমিটির নেতা ইসহাক খাঁ। সে তখন পাকিস্তান টিকিয়ে রাখার জন্য বাংলাদেশের নিরীহ হিন্দুনারীদের ধরে-ধরে পাকিস্তানি-হানাদারবাহিনীর ক্যাম্পে পাঠাতো। আর পাকিস্তানি নরপশুগুলো নির্বিচারে হিন্দুনারীদের ধর্ষণ করতো। এমনকি সে মুসলমান-নারীদেরও তুলে দিতো পাক-আর্মিদের হাতে। এই সময় রাজাকার-কমান্ডার ইসহাক খাঁ পাকিস্তানিদের খুব খুশি করে গ্রামের-পর-গ্রামে নির্বিচারে করতো লুটপাট। বিশেষভাবে, হিন্দুধর্মাবলম্বীদের ঘরবাড়ি কিছুতেই রেহাই পেতো না। ইসহাক খাঁকে সেই সময় সবরকমের সাহায্য-সহযোগিতা করতো এই আফাজ-কামলা।
রাধাগোবিন্দ সাহার পরিবার রাতের আঁধারে এখান থেকে পালিয়ে যাওয়ায় তার পরিবারের কোনো নারীসদস্যকে ওরা পাকিস্তানি ক্যাম্পে পাঠাতে পারেনি। সেই রাগে, ক্ষোভে-দুঃখে একাত্তরের রাজাকার আফাজ-কামলাকে এই জমিটা গায়ের জোরে দিয়ে দেয় যুদ্ধাপরাধী ইসহাক খাঁ। সেই থেকে আফাজ-কামলা রাধাগোবিন্দ সাহার এই জমিটা নিশ্চিন্তে ভোগদখল করে আসছে। জমির খাজনা দেয় রাধাগোবিন্দ সাহা। আর জমি চাষ করে ফসল খায়, আর মালিকানা বুঝে নেয় আফাজ-কামলা ! এ যেন ‘ডিম পাড়ে হাঁসে খায় বাঘডাশে’ প্রবাদের মতো।
ওদের হাত থেকে পঞ্চাশ বছরেও জমিটা ছাড়াতে পারেননি রাধাগোবিন্দ। তিনি প্রাণভয়ে আদালতেও যেতে পারেন না। যদি এতে রাগান্বিত হয়ে ওরা আবার খুনখারাবি করে বসে ! কিংবা একাত্তর সালের মতো আবার রাতের আঁধারে তার পরিবারের সদস্যদের ধর্ষণ করতে উদ্যত হয় ! তাই, এতটা বছর তিনি এসব নীরবে সয়ে যাচ্ছেন। ১৯৭১ সালে, ওরা বহু হিন্দুকে হত্যা করেছে। হিন্দুমানুষকে দেখতে পেলে ওরা তাকে আর বাঁচতে দিতো না। ওরা এমনই ভয়ংকর রাজাকার!
একদাগে এখানে সাড়ে তিন বিঘা জমি আছে। আফাজ-কামলার বাপ-দাদারা কখনো একসঙ্গে-একদাগে এত জমি দেখেনি। এমনকি তা দেখেনি তার চৌদ্দপুরুষও। সে এখন কিছুতেই এই জমি ছাড়তে নারাজ।
সে এখন পরের জমির ফসল খায়! চায়ের দোকানে আড্ডা দেয়। আর মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়ে! দিনকাল তার ভালোই কেটে যাচ্ছে।
জমিটা অনেক সুন্দর বলে রাধাগোবিন্দ এখন প্রায়ই জমিটা দেখতে মন্দিরের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন। জমিটার ফসল দেখলে প্রাণ জুড়িয়ে যায় ! তবুও তিনি কিছু করতে বা বলতে পারেন না। তার সবকিছু খাচ্ছে এখন বাঘডাশে !
সেদিন খুব ভোরে মন্দিরের পাশের ওই জমিটাতে প্রবল হইচই, চিৎকার ও চেঁচামেচি শুনে তিনি বিছানা ছেড়ে উঠে পড়লেন। তারপর ছুটে গেলেন সেখানে।
কাছে গিয়ে দেখেন, পাশের জমির চাষি মনছের প্রামাণিকের সঙ্গে আফাজ-কামলা ও তার দুই ছেলে ভয়ানক মারামারি বাঁধিয়েছে। তা দেখে তিনি একবার সেখান থেকে পালিয়ে বাড়ির ভিতরে ঢুকে পড়তে চেয়েছিলেন। কিন্তু আবার ভাবলেন, ঘটনাটা না-দেখলে শেষে আফসোস করতে হবে—ভেবে তিনি সেখানে দাঁড়িয়ে রইলেন।
আফাজ-কামলার বড়-বড় জওয়ান দুই ছেলে আছে। তারাও কোমরবেঁধে বাপের সঙ্গে মারামারি করছে। অন্যদিকে মনছের প্রামাণিকের একমাত্র ছেলে তয়ছের বাপকে বাঁচানোর জন্য নানারকম চেষ্টা করছিল। কিন্তু কিছুতেই কিছু হলো না।
মারামারির একপর্যায়ে খুব উত্তেজিত হয়ে আফাজ-কামলার বড়ছেলে লুৎফর বড় কোদালটার গোড়া দিয়ে মনছের প্রামাণিকের মাথায় প্রচন্ড জোরে আঘাত করলো। আর এক আঘাতেই মাথা ফেটে সেখানেই মারা গেল মনছের। তার এই দশা দেখে এক চিৎকার দিয়ে সেখান থেকে তয়ছের পালিয়ে গেল। সে প্রচণ্ড ভয় পেয়েছে—তাকেও না আবার খুন করে ওরা !
ওরা মনছেরকে মেরে কিছুসময়ের জন্য হতবুদ্ধি যেন ! তারপর আফাজ সংবিৎ ফিরে পেয়ে লুৎফরের দিকে তাকালো। আর বললো, “ওটাকেও শেষ করে দে, বাজান। নইলে, জানে বাঁচতে পারবি নানে। সাক্ষী থাইকে যাইবেনে। সাক্ষী রাখা পাপ !”
কিন্তু তার আগেই তয়ছের পগার পাড়ি দিয়েছে। তাকে আর ধরতে পারেনি ওরা।
ওদের এমন একটা ভয়ানক কাণ্ড দেখে হাত বিশেক দূরে দাঁড়ানো রাধাগোবিন্দ সাহাও একসময় সভয়ে দৌড়ে বাড়ির ভিতরে চলে আসেন। তার শরীরটা কাঁপছিল। তিনি খুব ভয় পেয়েছেন—তাকেও না আবার ওরা মেরে ফেলে !
আফাজ-কামলারা দেখেছে, এই ঘটনার সাক্ষী রয়ে গেছে দুজন। এক হচ্ছে, তয়ছের। আরেকজন রাধাগোবিন্দ সাহা।
পুলিশ আসতে বেশি দেরি হয়নি। থানার পাশের গ্রাম। লাশ নিয়ে থানায় চলে গেছে তারা। লাশের ময়নাতদন্ত হবে। তখনও মামলা হয়নি কারও নামে।
খানিকক্ষণ পরে তয়ছের তার লোকজনদের নিয়ে থানায় গেল মামলাদায়ের করতে।
দারোগা এরই মধ্যে আফাজ-কামলার লাখ টাকা খেয়ে বসে আছে। সে তয়ছেরকে বললো, “নিজের বাপকে খুন করেছিস, ব্যাটা। এখন দোষ দিচ্ছিস নিরীহ আফাজ সেখের নামে ! তুই মামলা করতে পারবি না। ভালো চাইলে পালিয়ে যা। তোকে আমি ধরবো না। যা, পালিয়ে যা। এই তোকে সুযোগ দিলাম।”
কথাটা শুনে মাথা ঘুরে যায় তয়ছেরের। তবুও সে মনোবল হারায় না। শেষমেশ তার মনে পড়লো, রাধাগোবিন্দ সাহার কথা। তিনি তো মন্দিরের পাশে দাঁড়িয়ে-দাঁড়িয়ে সবকিছু দেখছিলেন।
সে তখন ব্যতিব্যস্ত হয়ে বললো, “দারোগাসাহেব, আমাদের পাড়ার গোবিন্দ কাকাও ঘটনাটা দেখেছেন।”
কিন্তু পুলিশ কিছুতেই বিশ্বাস করে না তার কথা। তার কাছে সত্যের চেয়ে টাকার মূল্য বেশি। সে মামলা নিতে গড়িমসি করছে। এমনকি মামলা নিলোও না।
কদিন পরে পুলিশ মামলা নিয়েছে এলাকার এমপি-সাহেবের কথায়। কিন্তু পুলিশ, আসামিদের আর ধরে না। দারোগা মনের মতো করে লিখে দিয়েছে—এই মামলার কোনো সাক্ষীসাবুদ নেই !
আবার উপর থেকে আদেশ আসে। এমপিসাহেব জোরেশোরে একটা ধমক দিলেন দারোগাকে। এবার দারোগা নড়েচড়ে বসলো। বাধ্য হয়ে মামলাটা নতুনভাবে সাজায়। তারা লেখে, ‘মনছের সেদিন ভোরে তার জমিতে ছেলের সঙ্গে কাজ করছিল। হঠাৎ সেখানে মারামারি বেঁধে যায় ! আর খুন হয় মনছের। কিন্তু কার সঙ্গে কার মারামারি ? আর কে তাকে খুন করেছে—তা পরিষ্কার করে লেখে না দারোগা। আর এই ঘটনায় তয়ছের ব্যতীত প্রধান সাক্ষী হলো জমিটার পাশের বাড়ির রাধাগোবিন্দ সাহা।’ তা অবশ্য দারোগা লিখেছে।
দারোগা সঙ্গে-সঙ্গে আফাজ-কামলাকে এও বলে দিয়েছে, গোবিন্দ সাহাকে ম্যানেজ করলেই মামলা খতম। কারণ, তয়ছেরের একার কথায় আদালত রায় দিবে না। এটা খুব ভালোভাবে বুঝে নিয়েছে আফাজ-কামলা ও তার ছেলেরা।
এদিকে রাতের আঁধারে দুই ছেলেকে সঙ্গে করে গোবিন্দ সাহার বাড়িতে এসে আফাজ-কামলা বলে গেছে, “দাদা, সত্যি কথাটা বলবেন !”
গোবিন্দ সাহা ভয়ে-ভয়ে বললেন, “কী সেই সত্য কথাটা ?”
আফাজ-কামলা বলে, “আপনি বলবেন, আমার চোখের সামনে জমিতে কাজ করার সময় রাগের বশে নিজের বাপকে কোদাল দিয়ে কোপ দিয়ে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে তয়ছের। আর এতে মারা যায় মনছের। আর যদি বাদীপক্ষের উকিল বলে—আপনি সেখানে তখন কী করতে গেছিলেন ? তখন বলবেন, আমার বাড়ির পাশের জমি এটা। সেদিন একটা চেঁচামেচি শুনে সেখানে আমি ছুটে যাই। আর গিয়ে চোখের সামনে ঘটনাটা দেখতে পেয়েছি। আর-কিছু বললে বলবেন, আমি প্রায় প্রতিদিন সকালে মন্দির দেখতে যাই। তাই, ওদের ভালোভাবে চিনি।”
গোবিন্দ সাহা ভয়ে-ভয়ে বললেন, “আচ্ছা।”
যাওয়ার সময় তার দুই ছেলেসহ আফাজ-কামলা আবার শাসিয়ে গেছে, “দাদা, সত্যটা বলবেন। একদম সত্য। নইলে, জমি যেটুকু আছে—তাও থাকপে নানে।”
গোবিন্দ সাহা বললেন, “বলবো। সত্যই বলবো।”
দুদিন পরে আবার এমপি-সাহেবের ধমকে দারোগা, আসামি আফাজ-কামলাকে দুই পুত্রসহ গ্রেফতার করতে বাধ্য হলো। দারোগা ওদের বুঝিয়েছে, গোবিন্দ সাহা সাক্ষী দিলে তোমাদের আর চিন্তা নেই। ক’দিন পরেই তোমাদের ছেড়ে দেবো আমি।
কোর্টে যখন তয়ছেরকে সাক্ষী হিসাবে আনা হলো—তখন সে ঘটনাটা একনিঃশ্বাসে বলে ফেললো। এরপর গোবিন্দসাহাকে হাজির করা হলো মামলার প্রধান সাক্ষী হিসাবে।
গোবিন্দ সাহা এবার ধীরে ধীরে বলতে লাগলেন, “এই জমিটা আমাদের। আমাদের পূর্বপুরুষদের। এটা জোর করে ভোগদখল করছে আফাজ-কামলারা (তারপর তিনি ১৯৭১ সালের পুরো ঘটনাটা বলে গেলেন)। এই জমির আইল নিয়ে প্রায়ই ঝগড়াফাসাদ করতো আফাজ-কামলা ও তার ছেলেরা। সেদিনও তারা মনছের প্রামাণিকের সঙ্গে মারামারি বাঁধিয়ে ফেলে। সেদিন সকালে সেখানে চিৎকার ও চেঁচামেচি শুনে আমি কাছে গিয়ে দেখি, আফাজ-কামলা ও তার ছেলেরা মারামারি করছে। একপর্যায়ে আফাজ-কামলার বড়ছেলে লুৎফর কোদালের গোড়া দিয়ে মনছেরের মাথায় সজোরে আঘাত করে। আর এক আঘাতেই বেচারা মারা যায়। আর তখন নিজের বাপের এই অবস্থা দেখে সেখান থেকে প্রাণভয়ে চিৎকার করতে-করতে ছুটে পালায় তয়ছের। নইলে, তাকেও মারতো ওরা। আমি সেদিন নিজের চোখে সব দেখেছি।”
তারপর বাদীপক্ষের উকিলের প্রশ্নের জবাবে তিনি তাদের জমিটা দখলের পুরো ঘটনাটা আরও বিশদভাবে বর্ণনা করলেন। সব শুনে আদালত স্তম্ভিত!
তয়ছের আবার বললো, “বহুদিন আগে থেকে তার বাপকে হত্যার হুমকি দিয়েছিল এরা তিনজন। আর বলেছিল, হত্যা করে আমাদের এই দুই বিঘার জমিটাও নিয়ে নিবে।”
মামলার প্রধান সাক্ষীর সঙ্গে তয়ছেরও একই কথা বলেছে।
জজসাহেব সবকিছু বুঝতে পারলেন। আর তিনি সেদিনের জনাকীর্ণ এজলাসে রায় ঘোষণার দিনতারিখ ঘোষণা করে বিদায় নিলেন।
দারোগা তারপরও তাদের আশ্বাস দিচ্ছিলো, “ফাঁসি হবে না। তোমাদের আমি বের করে আনবো। কিন্তু, আরেক লাখ টাকা দিয়ো !”
কিন্তু কালোমুখে আর হাসি ফোটে না আফাজ-কামলাদের।
এলাকার সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর মামলা এটা।
গ্রামবাসী তাই প্রায় প্রতিদিন রায়ের দিন গোনে।
রাধাগোবিন্দ সাহা আগের চেয়ে ভালো আছেন। কেউ তাকে আর হুমকিধমকি দিতে সাহস পায় না। এমনকি থানার দারোগাও না। কারণ, আদালতের নির্দেশ আছে—তার নিরাপত্তার বিধান করতে।
তবুও গুটিকতক মুসলমান ভয় দেখায় তাকে। এরা আফাজ-কামলার জাতভাই। এরা বলে, ‘দাদা, কামডা ভালো হয় নাই। আফাজ ভাই, এবার হজে যাইতে চাইছিলেন ! তারে আপনে আটকায়ে দিছেন!’
গোবিন্দ সাহা কোনো কথা বলেন না। চুপচাপ বসে থাকেন বাড়িতে। প্রয়োজন না-পড়লে বাড়ির বাইরেও খুব-একটা বের হন না তিনি। আর মাঝেমাঝে মন্দিরের পাশের ওই জমিটার কাছে গিয়ে বসে থাকেন।
রায় ঘোষণার দিন গ্রামের অনেকের সঙ্গে রাধাগোবিন্দ সাহাও ছুটলেন জেলা-আদালতে। এখানে, একটি কথা বলে রাখা প্রয়োজন। ন্যায়বিচারের স্বার্থে এই মামলাটা উপজেলা-আদালত থেকে জেলা-আদালতে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল।
আদালত-প্রাঙ্গণ মানুষের ভিড়ে সয়লাব ! দাঁড়াবার মতো কোনো জায়গা অবশিষ্ট নেই। তবুও সাক্ষী হিসাবে গোবিন্দ সাহা ভিড়ের মধ্যে একপাশে দাঁড়াবার মতো একটু জায়গা পেলেন।
জজসাহেব রায় ঘোষণা করতে লাগলেন সকাল সাড়ে এগারোটার সময়।
তিনি অনেক কথা বলেছেন। কিন্তু কোনো কথা কারও মাথায় ঢুকলো না।
শেষে শুনলেন, আফাজ সেখসহ তার দুই পুত্রের ফাঁসির আদেশ দেওয়া হলো। আর আফাজ সেখের দখলে রাখা সাড়ে তিন বিঘা জমিটাও ফিরিয়ে দেওয়া হলো গোবিন্দ সাহাকে।
আদালত থেকে একলাফে ছুটে বেরিয়ে এলেন গোবিন্দ সাহা !
চোখের জলে ভাসতে-ভাসতে বারবার তিনি বিড়বিড় করে বলতে লাগলেন, “ভগবান! ভগবান! ভগবান...।”
তিনি এখন আরও সাহসী হয়ে উঠেছেন। আর নতুনভাবে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখছেন।
তার মনে আজ আনন্দ আর ধরে না। একটি সুন্দর ফাঁসির আদেশ হয়েছে আজ !
No comments:
Post a Comment